ডিএমপি কমিশনার

গুজব প্রতিরোধে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
গুজব প্রতিরোধে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সকল সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেছেন, যাতে করে কেউ গুজব সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দফতরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত সব সময়ই কাজ করতে হয়। যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় যেতে হয় পুলিশকে। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে-কর্মে শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে হবে। সঠিক বিধি অনুসরণ করে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট নগরবাসীর জন্য একটির অন্যতম বড় সমস্যা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। যানজট কমাতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের অবকাঠামোগুলোকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে করে নগরবাসী এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর বলেন, মামলা তদন্ত ও মনিটরিং এর ক্ষেত্রে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। যাতে করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত শেষ করা যায়। কোনো অপরাধী যেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে খালাস না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করবে সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতের সাথে মিশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুন এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএস