সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোর ডাকা তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা চলবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
এর আগে, সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।
আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।
অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করুন, মহাসড়ক অবরোধ করুন এবং শান্তিপূর্ণ থাকুন। কিন্তু তারা (সরকার) আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা করছে। আমরা রাজপথে থাকব এবং সরকারের অশুভ চক্রান্ত প্রতিহত করব।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাঝপথেই পণ্ড হয় যায় বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা বিএনপি হরতাল পালন করে। এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এরপর রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ২ দিন সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমান বিরোধী দলগুলো। এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। রাজধানীসহ সারাদেশে অতিরিক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়িতে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।
অবরোধে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মালিক সমিতি বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দিলেও যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার বাস চলছে কম। রাজধানীতেও যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম।
এইচআর