প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা হয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত। নির্বাচনে জয়ী হলে লন্ডনে বসে বাসে আগুন দেয়ার হুকুমদাতাকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে কোটালীপাড়া পৌরসভার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের বিচার না করে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান।’
বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।
তিনি বলেন, এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি।
দুই দিনের সফরে গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সড়ক পথে বরিশাল যান শেখ হাসিনা। বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় যোগদান শেষে সন্ধ্যায় নিজের পিতৃভূমিতে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাচনী এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
জনসভায় আগতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি।
তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
‘এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আয়োজিত এই জনসভায় নিজের ওপর বারবার হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। মানবঢাল করে আওয়ামী লীগ আমাকে রক্ষা করেছে।
বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।
আরএস