আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির পরিকল্পনা জেনে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের দিন তারা বিকট শব্দে কোনো কিছুর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল আল-মামুন।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এ ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।
আইজিপি বলেন, মাগুরায় ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে নির্বাচনের দিন নাশকতা ও সহিংসতা পরিকল্পনার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা যত পরিকল্পনাই করুক সবকিছুই মোকাবেলা করা হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য সকল বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। নাশকতার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না। তার বা তাদের (নাশকতাকারী) বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর সেবা নিতে পারেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কেউ বাধা দিলে ও নাশকতার চেষ্টা করলে তার ফল ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশপ্রধান বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী, আনসার, কোস্টগার্ড ও বিজিবি সবাই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকল বাহিনী সমন্বয় করে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে।
আইজিপি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য আমাদের জানানো হচ্ছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫টি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামীকাল শনিবার বিকেল থেকে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য চলে যাবে।
এআরএস