বাজারে যোগসাজশের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর অপরাধে ডায়মন্ড এগকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
সোমবার (২২) জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের দুটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, যোগসাজশের মাধ্যমে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ধারা ১৫ লঙ্ঘনের অপরাধে ডায়মন্ড এগকে আড়াই কোটি এবং সিপি বাংলাদেশকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্য বা সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ, গুদামজাতকরণ বা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এমন কোনো চুক্তিতে বা ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আবদ্ধ হইতে পারিবে না, যাহা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বা বিস্তারের কারণ ঘটায়, কিংবা বাজারে মনোপলি অথবা ওলিগোপলি অবস্থার সৃষ্টি করে।
আপিলের বিষয়ে আইনের ২৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কমিশনের কোন আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত ব্যক্তি আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে উহা (ক) পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনের নিকট; অথবা (খ) আপিলের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২০ এর অধীন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত কোন প্রশাসনিক আর্থিক জরিমানা সংক্রান্ত আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তাহার উপর আরোপিত জরিমানার- (ক) ১০% অর্থ কমিশনে জমা করিয়া পুনর্বিবেচনার; বা (খ) ২৫% অর্থ সরকারের নিকট জমা করিয়া আপিলের আবেদন জরিমানার জমার রশিদসহ করিতে পারিবেন।
এর আগে, ২০২২ সালে দেশের ১০টি পোল্ট্রি ফার্ম ও পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে ডিমের দাম বৃদ্ধিতে বাজারে কারসাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এর মধ্যে, মামলা নং ৩৯/২০২২, যা ডায়মন্ড এগ লিমিটেডটের বিরুদ্ধে এবং মামলা নং ৪৪/২০২২, সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের মামলার এ চূড়ান্ত আদেশ এল। প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে দায়ের করা আলাদা দুটি মামলার নিষ্পত্তি করে এই জরিমানা করা হয়।
এইচআর