বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে উপসচিব হতে আগ্রহীদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের ২০ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে এ তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্য ক্যাডার থেকে ১০ শতাংশ উপসচিব পদোন্নতি নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতেও শিক্ষা ক্যাডার থেকে যারা প্রশাসনের উপসচিব হতে ইচ্ছুক তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রশাসনের তিন স্তরের পদোন্নতির কাজ শুরু করবে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সব মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত শিক্ষা, খাদ্য, পোস্টাল, অডিটসহ অন্যান্য ২৬ ক্যাডার থেকে প্রতিবছর উপসচিব পদে পদোন্নতিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এর জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা দিতে হয় না। আবেদন করতে হয় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
চিঠিতে উল্লেখিত আবেদনের যোগ্যতা:
উপসচিব পদে পদোন্নতি বিবেচনার জন্য বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার ব্যতীত অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এরমধ্যে অন্যতম শর্ত হলো, আগ্রহী কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল ১০ বছর এবং সিনিয়র স্কেল পদে ৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। যারা এই শর্ত পূরণ করবেন তাদের মধ্য থেকে মেধা, দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রথম ২৫ জনের নামের তালিকা স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠাতে হবে।
আগ্রহী/যোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা মেধা, দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সঠিক ও নির্ভুলভাবে পাঠাতে হবে।
বর্তমান ঠিকানা (টেলিফোন/মোবাইল নম্বরসহ), স্থায়ী ঠিকানা (পিতার নামসহ), পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ পৃথক কাগজে চাকরির পূর্ণ বৃত্তান্ত ।
যারা আবেদনের যোগ্য হবেন না
- সব শর্ত পূরণ করার পরও তিনি উপসচিব পদে আগ্রহী নয় এমন কর্মকর্তা
- জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে বা পদোন্নতি প্রদান করা হলে আদালত অবমাননা হতে পারে এমন কর্মকর্তা
- বিসিএস ৩০তম ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচসমূহের কর্মকর্তা
- ১০ বছর চাকরিসহ সিনিয়র স্কেল পদে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হয়নি এমন কর্মকর্তা
- সিলেকশন গ্রেড/টাইম স্কেল/উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির মাধ্যমে ৪র্থ গ্রেড অর্জন করেছেন এমন কর্মকর্তা ব্যতীত যারা পদোন্নতির মাধ্যমে ৪র্থ গ্রেডভুক্ত হয়েছেন।
এআরএস