২০২৩ সালে দেশের বিভিন্নস্থানে ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত এবং ১১ হাজার ৪০৭ জন আহত হয়েছেন বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এই তথ্য জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
আজ শনিবার রাজধানী ধানমন্ডির রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে ২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও পর্যালোচনা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এবং কানাডা রিচার্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথ ভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারী ৯৭৪ জন, শিশু ১ হাজার ১২৮। এছাড়া ২ হাজার ৫৩২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২ হাজার ৪৮৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ১২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৫২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
একই সময়ে ১০৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন নিহত, ৭২ জন আহত এবং ৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়।
এছাড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিদায়ী বছরে ২৮৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত এবং ২৯৬ জন আহত হয়েছেন।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৭৩টি মহাসড়কে, ২৮৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৯৪ টি গ্রামীণ সড়কে, ৫৮৩টি, শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৪টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১ হাজার ৯৬৭টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬৯৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮৮ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরে ৮১টি রেল ক্রসিং দুর্ঘটনায় ১০৭ জন নিহত এবং ৬৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া রেল ট্র্যাকে ট্রেনে কাটা পড়ে ২০৬টি দুর্ঘটনায় ২১১ জন নিহত হয়েছেন। (মোট ২৮৭টি রেলস্থ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত এবং ২৯৬ জন আহত হয়েছেন)।
২০২৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫৩২টি, নিহত হয়েছেন ২৪৮৭ জন এবং আহত ১৯৪৩ জন। নিহতদের মধ্যে ১৯০৯ জন (৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ) ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ও লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদ খান, জয়েন্ট সেক্রেটারী ড. জাহিদুল ইসলাম, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ জাহাঙ্গীর, বুয়েট এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ রাব্বি, রোড সেফটি ওয়াচ ডটকম এর সম্পাদক হারুন অর-রশীদ, রেজিন্ট ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিসার্চ এন্ড ডিজিটাল ইন্টারভেনশন এক্সপার্ট আমিনুর রহিম।
আরএস