প্রাণ বাঁচাতে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনই তৃতীয় কোনো দেশের সহযোগিতা নিচ্ছে না বাংলাদেশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জো বাইডেনের চিঠির পাওয়ার পর মার্কিনিদের সঙ্গে অস্বস্তি কেটে গেছে। আর কোনো অস্বস্তি নেই। জো বাইডেনের দেয়া এই চিঠি একাধিক ইস্যুতে আরও সুদৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, যে কোনো ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। যেখানে প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইন্দো প্যাসিফিক সহ একাধিক ক্ষেত্র।
এর আগে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জোরালো অভিযান শুরু করেছে আরকান আর্মিসহ দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। ফলে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির বহু সেনা উত্তরপশ্চিম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তেও সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এ সংঘাতের মাঝে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
আরএস