আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদনটি পড়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো আমার মতামত দেইনি। ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকে খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। আবেদন ও সংশ্লিষ্ট ফাইল তার কাছে সোমবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি।
পরে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
প্রথমটি হলো- তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
বিআরইউ