রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে সকল শিক্ষার্থীর জন্য স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা না করায় তা বর্জন করেছে ক্রিয়াশীল সাত ছাত্রসংগঠন।
রোববার শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন তারা।
বিবৃতি দেওয়া ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাঈম, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সমু চাকমা এবং ছাত্র গণমঞ্চের সমন্বয়ক নাসিম সরকার।
শাহরিয়ার আলিফ পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের থেকে সকল প্রকার উৎসব ফি আদায় করে। তবে উৎসবগুলোতে আবাসিক অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কোনো প্রকার আগ্রহ দেখায় না। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে হল প্রশাসন আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করছে। তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা তারা করেননি।
বিবৃতিতে হল প্রশাসনের এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের এই নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। আবাসিক-অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীর জন্য হল থেকে খাবার নিশ্চিত করার কথা ছিল। তবে সেটি না করে তারা বৈষম্য তৈরি করে দিয়েছে। তাই আমরা স্বাধীনতা দিবসের খাবার বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নির্দিষ্ট চাঁদার বিনিময়ে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে হল কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে এবারও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। তবে হল প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীরাই স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ খাবার সংগ্রহ করতে পারবেন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে সকল ধরনের ফি নিয়েও স্বাধীনতা দিবসের এই খাবার সর্বজনীন না করায় এটি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল সাত ছাত্র সংগঠন।
ইএইচ