নৌ প্রতিমন্ত্রী

সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে নৌ-অধিদপ্তর প্রস্তাবনা তৈরি করছে

আমার সংবাদ ডেস্ক: প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে নৌ-অধিদপ্তর প্রস্তাবনা তৈরি করছে

সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে। শীঘ্রই প্রস্তাবনাটি আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ সংস্থায় (আইএমও) পাঠানো হবে বলে জানান নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঈদ-পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন ধরনের সংকটের সময়ে সমুদ্রপথে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে এই প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছি। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়। মার্চেন্টশিপগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ধরনের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য নৌপরিবহণ অধিদপ্তর কাজ করছে। এটি একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রস্তাবনাটি তৈরির।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবির বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।’

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়।’

তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে, ‘গতকালকে আমি শুনেছি তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে, সেটা নিয়েও হয়ত তারা কাজ করছে’-যোগ করেন খালিদ মাহমুদ।

বিআরইউ