পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়েছে যা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে।
ইতোমধ্যে উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে ১৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
এর ফলে ঘূর্ণিঝড় পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে তা মোকাবেলায় উপকূলীয় ১২ জেলায় ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্যকে চার দিনের জন্য মোতায়েন করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
একই সাথে সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় রেঞ্জ কমান্ডার, জেলা কমান্ড্যান্ট ও আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আদেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে এক ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে এসকল কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলপূর্বক স্টেশনে অবধারিতভাবে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য সদর দপ্তরে অপস কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কমান্ডার ও জেলা কমান্ড্যান্ট স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিজ উদ্যোগে দুর্গত মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ও মাইকিং করে প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
এছাড়াও আনসার-ভিডিপি সদস্যরা স্থানীয়দের গৃহপালিত প্রাণী যেমন- হাস, মুরগি, গরু, ছাগল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সহায়তা করছেন। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন ও জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা-দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহকারী আনসার কমান্ডারদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য, আনসার ও ভিডিপি সদস্য/সদস্যদের নিয়োজিত করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তর ও সরকারি কোনো সংস্থা ও এজেন্সি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদেয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে আনসার-ভিডিপি সদস্যগণ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার-ভিডিপি সদস্যরা।
ইএইচ