মন্ত্রিপরিষদ সচিব

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই

সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুর্নীতির সাথে কোন সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পুরো মেকানিজম মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মিহবুব হোসেন বলেন, ‘কোর দুর্নীতি প্রমাণিত হবার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নাই।’

দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়াদের কি ফেরানো সম্ভব? দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়াদের কি ফেরানো সম্ভব? 
সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটির সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। সরকারি চাকরি করে তারা কিভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করলেন তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের কথা উঠে আসলে দেশজুরে আলোড়ন তৈরি হয়। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, পাঁচ তারকা হোটেলের শেয়ার, গাজীপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে।

এবার স্ত্রীসহ এনবিআর কর্মকর্তার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ এবার স্ত্রীসহ এনবিআর কর্মকর্তার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ এ অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরুর প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন বেনজীর। আদালতের আদেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা নানা সম্পদ ক্রোক করেছে সরকার।

পুলিশ প্রধান বেনজীরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

এছাড়াও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য জানা যায়। এরই মধ্যে আদালত তার সব সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে। 

আরএস