ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বিগ্ন।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনার শেষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরাও আসলে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গতকাল বিকেলের পর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যত সহিংসতা হয়েছে, যতগুলো প্রাণহানি হয়েছে; তা খুবই উদ্বেগের।
তিনি বলেন, সবাইকে বলব—সচেতন হন, সহিংস হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অবশ্যই বিবেচনায় নেবেন। তাদের সহায়তা করার জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগে গেছে, আপিল করাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেন। তিনি গত কয়েকদিনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যেটা শান্তিপূর্ণ ছিল, অরাজনৈতিক ছিল। সেখান থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল, তারা মিথ্যা-গুজব ছড়ালো দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। যখন গুজবটা ছড়ালো, তখন কিন্তু কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু আমরা দেখলাম এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক কিছু মাধ্যম এবং কিছু রাষ্ট্রের মুখপাত্রও বিবৃতি ও বক্তব্য দিলো। তারা এর মাধ্যমে গুজবকে স্বীকৃতি দিলো।
এ গুজবের প্রেক্ষিতে, উসকানির কারণে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গেলো। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে ৬-৭ জন মানুষের জীবন চলে গেলো। তাদের জীবন চলে যাওয়ার পেছনে কী মিথ্যা ও গুজব ছড়ানোর যেসব প্ল্যাটফর্ম তারা কি দায়ী নয়?
আমরা মুক্ত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতামত প্রকাশ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন রক্তাক্ত হয়েছে, সেটা যেভাবেই হোক; তা নিয়ে যখন কেউ মন্তব্য দিচ্ছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু অনেক গুজবও ছড়াচ্ছে। আমার অনুরোধ—সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো তথ্য দেখেই যেন তারা আবেগী সিদ্ধান্ত না নেন। কোনো উসকানিতে যেন সহিংস অবস্থানে নেমে পড়বেন না।
বিআরইউ