চলমান বন্যায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা আরও চারজন বেড়েছে। বন্যা কবলিত ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ২৮ জনই মারা গেছে ফেনীতে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এ তথ্য জানান। সোমবার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৭ জন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বন্যায় মৃত লোকসংখ্যা ৭১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, নারী ৭ জন ও শিশু ১৯ জন। কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, কক্সবাজারে ৩ ও মৌলভীবাজারে ১ জন মারা গেছেন। এখনও মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
এখনো ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মোট লোকসংখ্যা ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন।
সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি-ঘরে ফিরছেন। এখনও ৩ হাজার ৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন লোক এবং ৩১ হাজার ২০৩টি গবাদি পশু রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আলী রেজা।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি, বেসরকারিসহ সব পর্যায়ে থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলমান।
আরএস