বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল। ৪৯ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মারা গেল সে।
সোমবার সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাতুল বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রাতুলের বড় বোন জেরিন জানান, তার সঙ্গে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাতুলের মাথায় চারটি ছররা গুলি লাগে। এরমধ্যে একটি গুলি বাম চোখের মধ্য দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। এরপর আরও অসংখ্য গুলি লাগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। পরে তার বোন জেরিন ও তার ভগ্নিপতি তাকে অজ্ঞান অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতলে নিতে বলেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পর তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। মগজের ভেতর থেকে একটি গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। রাতুলের জন্য কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ইএইচ