বিএসসি

জাহাজে আগুন জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির অপচেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
জাহাজে আগুন জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির অপচেষ্টা

এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দুটি অয়েল ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ড জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক।

বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুনের ঘটনায় শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিএসসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানান কমডোর মাহমুদুল মালেক।

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‍‍`রাত সাড়ে ১২ টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা এটা নাশকতা। কেননা কয়েকদিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লেগেছিল। এবার আগুন লাগল বাংলার সৌরভে। তাই আমরা ধারণা করছি, এ ঘটনা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপচেষ্টা। এই ঘটনায় কারা জড়িত তা শনাক্ত করা উচিত।‍‍`

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‍‍`বাংলার সৌরভে ১১ হাজার ৫৫ টন অপরিশোধিত তেল ছিল। ৪৮ জন ক্রু ও ওয়াচম্যান ছিলেন। তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে বিএসসির স্টুয়ার্ট সাদেক মিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এই ঘটনায় বিএসসির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে প্রধান করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।‍‍`

এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় বাংলার সৌরভ জাহাজে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দরের ৭টি টাগবোট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্তু আগুন নেভানোর দেড় ঘণ্টা পর আবার আগুন ধরে যায়। পরে প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। একইভাবে গত সোমবার বিএসসির আরেক জাহাজ বাংলার জ্যোতিতেও বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। তখন তিনজন নিহত হন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক সূত্র জানায়, একটি জাহাজের আয়ুষ্কাল থাকে ২০ থেকে ২৫ বছর। এরপর তা আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু এমটি বাংলার জ্যোতি ও এমটি বাংলার সৌরভ নামের ট্যাংকার দুইটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।

বিআরইউ