বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। সে জন্য গণমাধ্যমকে নানা ধরনের সরকারি চাপ ও নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তেমনি ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালেও গণমাধ্যমকে নানা ধরনের চাপ পোহাতে হয়েছে।
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একজন তরুণ ছাত্রনেতা ছিলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যম আইন ও এর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্তরায় যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। আমরা অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নিরাপত্তা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি রূপরেখা করার চেষ্টা করব। যাতে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে এ দেশে মানুষ গণমাধ্যম চর্চা করতে পারে।
তিনি জানান, গণমাধ্যম সংস্কারে গঠিত কমিশন এমন আইন করবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ গণমাধ্যমে খবরদারি চালাতে না পারে।
জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় সমালোচিত রাজনৈতিক চরিত্র শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে নানা মহলে। এ নিয়ে সরকার কী ভাবছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ মেরে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের কেবল বিচারের কাঠগড়াতেই উঠতে হবে না, ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো দলের কাছে নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ। তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য যতই চাপ দিক, সংস্কার কমিশনের কাজের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার।
গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে পেরেশান হতে হচ্ছে, একের পর এক দাবি আদায়ের আন্দোলন সামলাতে। এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম মনে করেন, কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সবগুলো নয়। এসব দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।
বিআরইউ