সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন তিনি।
শুক্রবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
চলতি বছর বর্ষসেরা দেশের (কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার) তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট। তালিকায় শীর্ষ দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে সুখী বা ধনী নয়, বরং গত ১২ মাসে কোন দেশ সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে, সেই বিচারে বর্ষসেরা দেশ বেছে নেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকার নেয় সাময়িকীটি।
নির্বাচন আয়োজনের পর কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি আমার সারাজীবন ধরে করেছি।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণরা খুবই পক্ষপাতহীন। তারা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, যোগ্যতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা কোনো অংশে কম নন। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিনজন তরুণকে অন্তর্র্বতী সরকারে যুক্ত করা হয়েছে। তারা এখন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অসাধারণ কাজ করছেন। তারা বিগত শতাব্দীর নন, বরং এই শতাব্দীর তরুণ।
ইএইচ