জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

শিক্ষক সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
শিক্ষক সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখায় সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুরের নারী শিক্ষা প্রসারে অপ্রতিদ্বন্দ্বি ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টির প্রভাতী শাখায় সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুজন। তন্মধ্যে একজন হচ্ছেন সৈয়দা মাহফুজা মিমি। যিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ও শারীরিকভাবে পাঠদান অনুপযোগী এবং এবছর জুনেই তার অবসরে যাওয়ার কথা।

এ কারণে প্রভাতী শাখায় সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক রয়েছেন বস্তুত একজন। তিনি হলেন আমিমুল আহসান। এই একজন শিক্ষক দিয়েই অতিকষ্টে চলছে প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

অপরদিকে দিবা শাখায় সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক রয়েছেন চারজন। তারা হলেন, শাহেদা ফেরদৌসী, সুরাইয়া সুলতানা, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. আমির হোসেন।

জানা গেছে, সংকট নিরসনের লক্ষ্যে দিবা শাখার সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক মো. আমির হোসেনকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাতী শাখায় যোগদানের জন্য অফিস আদেশ দিলে শিক্ষক আমির হোসেন প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাৎক্ষণিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

শুধু তাই নয় সকল শিক্ষকদের সামনে চেয়ার থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তাৎক্ষণিক সে আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষক তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে আমির হোসেন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দিয়ে প্রধান শিক্ষককে ফোন করিয়ে সে আদেশ প্রত্যাহারের জন্যও চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন মহলে সে প্রধান শিক্ষককে জড়িয়ে মনগড়া কুৎসা রটাতে থাকেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তার শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না। তার অফিস আদেশ কি আমির হোসেন প্রতিপালন করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- না। আমির হোসেন অফিসিয়াল সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে এখনও দিবা শাখায় পাঠদান করে যাচ্ছেন। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চাপা অসন্তোষও বিরাজ করছে।

অপরদিকে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষক সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি জামালপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক মহলসহ সংশ্লিষ্টরা।

ইএইচ