‘পাকিস্তান-বাংলাদেশের নাগরিকরা একই সমস্যা ভোগ করেন’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
‘পাকিস্তান-বাংলাদেশের নাগরিকরা একই সমস্যা ভোগ করেন’

পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহাম্মেদ মারুফ বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আপনাদের মত জনগণ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং আপনারাই দেশ দুটির চলিকাশক্তি। সবচেয়ে মজার বিষয় আপনারা যে সমস্যায় ভোগেন ঠিক পাকিস্তানের নাগরিকরাও সেই সমস্যা ভোগ করেন। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র খামারিদের জন্য উন্নত জাতের শাহী ওয়াল গাভীর পাশাপাশি ভেড়া ও ছাগল দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের খামারিদের জীবনমান আরও সমৃদ্ধ হবে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার বুধবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহারা প্রাইমারি স্কুল মাঠে প্রান্তিক খামারিদের এক সমাবেশে বক্তৃতা দানকাল এ কথা বলেন। তবে পাকিস্তান মাংস ও দুধ উৎপাদনে বেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের হতদরিদ্র খামারিদের জন্য স্থান উন্নত জাতের গবাদি পশু দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুত একটি প্রস্তাবনা তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাবনা ইসলামাবাদে পাঠানো হলে বাংলাদেশি জনগণের জন্য উন্নত জাতের গবাদিপশু দ্রুত পাঠানো সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ অধিদপ্তরটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহযোগিতা করা হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডীন ড. আমিনুল হক, জেলা প্রাণিসস্পদ অফিসার ডা: এ,এস,এম আতিকুজ্জামান, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের মুখপাত্র হুমায়ন কবির বাবর ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শৈলকুপা উপজেলার বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৭২০ জন খামারি উপস্থিত ছিলেন।

বিআরইউ