সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আজ। এর আওতায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে সারা দেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, সব শিশুকেই যেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যাদের ঘরে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে। বছরে দুবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। বর্তমানে ভিটামিন এ–এর অভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
বিআরইউ