আওয়ামী লীগকে কোনোদিন এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর অফিসে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আসা গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, আপনাদের সঙ্গে আমরা থাকবো- এটা হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। আপনাদের অস্তিত্ব, লড়াইটাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আপনারা যদি মাঠে থাকেন, আমরা যদি আপনাদের সঙ্গে থাকি, তাহলে বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা তৈরি হয়েছে, সেটা সফল হবে। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজমের ফিরে আসার পথ রুদ্ধ হবে।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘কোনোদিন আওয়ামী লীগকে আমরা এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেবো না- এটা হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। তারা যদি আবার সুযোগ পায়... এবার মাত্র ৩ হাজার বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, দেড়-দুই হাজার গুম হয়েছে, আবার যদি সুযোগ পায় এই সংখ্যা অনেক গুণ হবে। আমরা এই সুযোগটা আওয়ামী লীগকে দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের খুন-গুমের শিকার হয়েছেন; বিএনপি, জামায়াত যেই হোন না কেন, আমাদের একটি পয়েন্টে একমত থাকতে হবে- গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এখানে যাতে কোনো গুম, খুন ও নিপীড়নের কোনো কালচার না ফিরে আসে, কারও মাধ্যমে না ফিরে আসে।’
‘শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, সেগুলো যাতে ঠিক করতে পারি। প্রতিষ্ঠান ঠিক করলে ন্যায়বিচার পাব। প্রতিষ্ঠান যদি গোছানো না হয়, সংস্কার না করা যায়, তাহলে ন্যায়বিচার পাবো না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিজম এবং এ ফ্যাসিজমকে যারা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে সহযোগিতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, হাসিনা এবং তার যে সহযোগীরা ছিল তাদের বিচারের প্রক্রিয়া ও বিচারের কার্যক্রম যতদিন না শেষ হচ্ছে ততদিন আমাদের বিশ্রামের সুযোগ নেই।
গুম কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমে জড়িত থাকা অনেকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে বলেও জানান তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পুরো দেশটাকে আয়না ঘর বানিয়েছিল। আমরা আসলেই দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছি।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ভারত দুঃখজনকভাবে হাসিনা এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেয়েছি- লাখের কাছাকাছি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।’
আরএস