ইতালি যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি কর্মী যাদের ভিসা অপেক্ষমাণ (পেন্ডিং) আছে, সেটির সমাধান ইতালির হাতে। আর এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইতালিকে অবিরাম চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ইতালির বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। কিছু সমস্যা আছে যেটাতে আমাদেরও দোষ আছে। নিজেদের ত্রুটি, স্বীকার করা উচিত। কারণ, ৬০ হাজার মানুষের কাগজপত্র ইস্যু হয়েছে সেই কাগজপত্রের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে ভিত্তি সঠিক নয় বলে আমরাও জানি, ইতালিয়ানরাও সেটাকে চিহ্নিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের বলেছে, এগুলো চেকআপ না করে দিতে পারবে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। আর তাদের সন্দেহ অমূলক নয়।
ইতালি যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি কর্মীদের উদ্দেশে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমার সহানুভূতি আছে যারা সাফার করছে। আমি নিশ্চিত তাদের মধ্যে অনেক সঠিক মানুষ আছে। কিন্তু যেটা হয়, সঠিকের সঙ্গে বেঠিক ঢুকে যায় তখন সবগুলো চেকআপ করতে হয়। আর এতে করে সঠিক যারা তাদের সাফার করতে হয়, সেটাই ঘটছে এখানে। এখন তারা যদি আন্দোলন করে তাহলে এর মাধ্যমে সমাধান হবে না। এই সমস্যার সমাধান ইতালিয়ানদের হাতে এবং আমরা তাদের অবিরাম চাপ দিয়ে যাচ্ছি।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার বিষয়ে যে কোনো অগ্রগতি হয়নি, তারই ইঙ্গিত মিলেছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রকৃতিতে কোনো ভ্যাকুয়াম থাকে না। এখানে ভিসার অভাবে লোকজন না যেতে পারলে তারা অন্য কোথাও যাবে। যাচ্ছে ইতিমধ্যে, আমরা সেটাতে সহায়তা করব যেন রোকজনের সমস্যা না হয়। কারণ, আমাদের লোকজন যে যে কারণে ভারতে যেত সেটা যদি অন্য কোনো দেশে সমাধান করা যায় আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। ভারত যদি ভিসা দেয় সেটা তাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে, আমাদেরও হবে। আমরা জানি ভিসা না দেওয়ার কারণে কোলকাতায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভিসা হচ্ছে একটা দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীন অধিকার। এ নিয়ে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আপনি তাদের বলতে পারবেন না, কেন দিচ্ছেন না।
আরএস