মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনা

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনা

বর্তমান যুগে মহাকাশ প্রযুক্তির গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি শুধু উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতির যুগে বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকতে চায় না। তাই কৌশলগত বন্ধু রাষ্ট্র তুরস্কের সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তিতে যৌথ সহযোগিতা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

শনিবার (১২ এপ্রিল) তুরস্কের আনাতোলিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (ADF)-২০২৫’-এর ফাঁকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৈঠকে বসেন ‘টার্কিশ এয়ারোস্পেস’-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মেহমেত ডেমিরোগ্লুর সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমও। 

বৈঠকে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মহাকাশ প্রযুক্তিতে একটি নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক অংশীদার খুঁজছে, আর তুরস্ক সেই ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা হলে তা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, মহাকাশ প্রযুক্তিতে বর্তমান সুযোগ পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্কের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সফরের মধ্য দিয়ে মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক সহযোগিতা আরও শক্ত ভিত্তি পাবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এমন একটি ফোরামের পটভূমিতে, যেখানে বিশ্বের প্রায় ৪ হাজার অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম’-এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিভক্ত বিশ্বে কূটনীতি পুনরুদ্ধার’। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ ফোরামে অংশ নিয়েছেন ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান, ৫০ জনের বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন সিনিয়র প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণ কেবল গবেষণা ও নিরাপত্তা খাতে নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবসম্পদ গঠন এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অবস্থানে উত্তরণের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তুরস্কের মতো অভিজ্ঞ বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় এই পথচলা আরও মজবুত ও কার্যকর হবে—এমনটাই প্রত্যাশা।

বিআরইউ