মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তারা আইন ভঙ্গ করেনা, জাটকা ধরেনা। জাটকা ধরে দুষ্ট ব্যবসায়ীরা। যারা দাদন দিয়ে ব্যবসা করে, জেলেদেরকে আটক করে রাখে- তারাই মূলত দুষ্ট ব্যবসায়ী।
আজ রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি মৎস্য বাজারে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু কাজ করে যেতে চায়। যেখানে মানুষ বৈষম্যের শিকার, অবিচারের শিকার, যেখানে মানুষ কষ্টে আছে সেখানেই বর্তমান সরকার মানুষের দুঃখ লাঘবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
দেশের জন্য মাছের আড়তদারদের অবদানের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যাত্রাবাড়ীতে একটি কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসম্মত বাজার তৈরি করা হবে এবং যেখানে আলাদা আলাদা করে থাকবে সবকিছু।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে বাজারে আড়তদারসহ মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করা হবে। তবে দয়া করে মাছের দাম অহেতুক বাড়াবেন না।
তিনি বলেন, জুনের পর এই জাটকা যখন ইলিশে পরিণত হবে তখন তা বাজারে আসবে। বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ হয়তোবা ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারে না। জুনের পর ইলিশ যেন সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদা খানম, উপ-পরিচালক সাজদার হোসেন, ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আয়েশা সিদ্দিকা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের পক্ষে মো. ফেরদৌস, দয়াল ভরসা মৎস্য আড়তের সভাপতি দিব্যেন্দু রায় ভুলু বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ইলিশ ব্যবসায়ী, জীবিত রুই মাছ বিক্রেতা, জীবিত মাছ বিক্রেতা, পাঙ্গাস মাছ বিক্রেতা, চিংড়ি মাছ বিক্রেতা, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিক্রেতা, মাছ কাটা শ্রমিকরা বক্তব্য দেন। -বাসস
আরএস