সড়কে বর্জ্য ফেলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
সড়কে বর্জ্য ফেলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

রাজধানীর নতুন বাজারের মূল সড়কে বাসা-বাড়ির সংগ্রহ করা বর্জ্য ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বর্জ্যের দুর্গন্ধে এই পথে চলাচল করা পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে নতুন বাজারে রামপুরা-কুড়িল সড়কে ময়লা ফেলা শুরু করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তারা বলছেন, তারা বেতনের দাবিতে এভাবে এখানে ময়লা ফেলেছে। তাদের এভাবে সড়কে ময়লা ফেলার কারণে সড়কের পশ্চিম পাশ তথা বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কে ময়লা ফেলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী কামরুল মোবাইলফোনে বলেন, তারা সিটি করপোরেশনের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অধীনে বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করেন। বিনিময় এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে তাদের বেতন-ভাতা দেয়। কিন্তু তিন মাস ধরে তাদের বেতন-ভাতা ঠিকমতো দিচ্ছে না ঠিকাদার। এ কারণে তারা এভাবে রাস্তায় ময়লা ফেলে দাবি আদায়ে নেমেছে। বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি পেলে তারা নিজেরাই সড়ক থেকে ময়লা তুলে নেবে।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন ডিএনসিসির উপ-প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, নতুন বাজারে আমাদের একটি এসটিএস ময়লা রাখার ঘর রয়েছে। গত রাতে সেখানে অতিরিক্ত বর্জ্য থাকায় কিছু বর্জ্য রাস্তায় পড়েছে। এর মধ্যে পেলোডার নষ্ট থাকার কারণে বর্জ্যগুলো সরানো যাচ্ছে না। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন-ভাতার কোনো সংযুক্তি এখানে নেই বলে দাবি করেন তিনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বেতনের দাবিতেই সড়কে ময়লা ফেলে আন্দোলন করছেন। তবে তাদের পাওনা সিটি করপোরেশনের কাছে নয়। তাদের দাবি তাদের পরিচালনা করা কন্ট্রাক্টর বা ইজারা যারা নিয়েছে তাদের কাছে। সেখানকার পরিস্থিতিসহ কেন তারা এমন করছে, কারা তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি, এখানে ফল্ট কার-সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে ডিএনসিসি।

আরএস