মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষির উন্নতি হয়েছে তবে একই সঙ্গে আমরা গোখাদ্য নষ্ট করেছি। তিনি বলেন, গরু বা অন্যান্য প্রাণীকূলের খাবারের পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে, আর এটি কখনও বাণিজ্যিক কোম্পানির মুনাফার জায়গা হতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, বিএলআরআই নেপিয়ার নিয়ে এবং ঘাসভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘাস উৎপাদনের জায়গা পর্যাপ্ত নয়, তাই এ বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত “Strengthening Partnership for Innovation in Livestock Research and Development” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্য। তাই প্রাণিসম্পদ খামারিদের জন্য পৃথক ব্যাংক তৈরির বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেমিনারে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্যামেরন ক্লার্ক। 

তিনি প্রাণিসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারকরণ এবং যৌথ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এসময় বিএলআরআই, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, খামারিরা ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিআরইউ