নারী’র দিবস হোক প্রতিটি দিন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ১১:০৯ এএম
নারী’র দিবস হোক প্রতিটি দিন
মো. তানজিমুল ইসলাম ও তুনাজ্জিনা হক

অতি সাধারণ মানুষের কাছে ‘জেন্ডার’ মানে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ‘নির্যাতন’ টাইপের একটি বিষয় । আশির দশকে বিষয়টি প্রায় এমনই ছিল। কিন্তু কালক্রমে এ ধারণার অনেক পরিবর্তন সাধিত হলেও জনমনে ভ্রান্ত ধারণাটি যেন অস্থি-মজ্জার সাথে মিশে আছে। উন্নয়ন জগতে ‘জেন্ডার’ হলো নারী-পুরুষের সমতায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বা বিশেষ উদ্যোগ। জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সমাজে নারী-পুরুষেরা যখন সমান তালে কাজ করছে, এবং সর্বোপরি পারষ্পরিক  শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার মাধ্যমে দায়িত্ব বন্টন করে নিচ্ছে, জেন্ডারের উদ্দেশ্যও ঠিক তক্ষুনি সফল হচ্ছে । সময়ের প্রয়োজনে, পরিস্থিতির বিবেচনায় কৌশলগত কারণে ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীর প্রতি পুরুষের ; পক্ষান্তরে, পুরুষের প্রতি নারীর যে সহযোগিতা-সহমর্মিতা ও কাজ করার অনূকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবার যে উদ্যোগ তা-ই মূলত: উন্নয়ন জগতে ‘জেন্ডার’ হিসেবে অভিহিত।

সরকারি-বেসরকারী নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে নারীরা আজ প্রায় সর্ব দিক থেকেই এগিয়ে চলেছে । শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অর্থনীতি-অধিকার-মত প্রকাশের স্বাধীনতা-স্বনির্ভরতায় নারীরা দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখলেও আজো নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটে হরহামেশায়। ’নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে’ বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইন, প্রতিবাদ, সমাবেশ, গোল টেবিল বৈঠক, মানববন্ধন কর্মসূচি, ইত্যাদি প্রচলিত। বছরের পরে বছর চলে যায়, সময়ের আপন নিয়মে কর্মসূচি পালিত হতে থাকে তবু একটি বিশেষ শক্তিধর গোষ্ঠী বহাল তবিয়তে তাঁদের পৌরুষ আচরন প্রতিষ্ঠা করতে থাকে অত্যাধুনিক কায়দায়। শুধুমাত্র কাগজে-কলমেই নয় বরং সারাবিশ্বের মানুষের অস্থিমজ্জায় মিশে আছে একটি নেতিবাচক বিশ্বাস: ’নারীরা অবহেলিত-নির্যাতিত-বঞ্চিত’, ইত্যাদি! বাস্তবতা যাই হোক না কেন, শুধুমাত্র নারীদেরকে ’মানুষ’ হিসেবে পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন না করার কারণেই এই চিত্রটি স্থায়ীভাবে আটকে আছে। নারীর উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে এই জ্যামটি তাঁদের গতিশীলতাকেই কেবল ব্যহতই করছে না বরং পিছিয়ে দিচ্ছে একটি জাতিকে।

সময়ের প্রয়োজনে “ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি মহলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যেহেতু প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক বিশ্বে নারী–পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তাই প্রযুক্তিতে নারীর সুযোগ আরো বাড়াতে হবে। নারীকে প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। একই সাথে নারীকে প্রযুক্তিগত ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইল ও অনলাইন সহিংসতা থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখা এখন সময়ের দাবী।

প্রতি বছরের ন্যায় ৮ মার্চ ফিরে ফিরে আসে “আন্তর্জাতিকভাবে নারী’র” একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনের ক্ষেত্র হিসেবে। বিশেষ দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে বর্ণিল সাজে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু আশ্চর‌্য জনক হলো, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ‘পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’

অর্থাৎ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও নারী ও পুরুষের মধ্যে নানাবিধ বৈষম্য আজো বিরাজমান। এমনকি অসমতার মধ্যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট  বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন মহলে হয়তো আলোচনার ঝড় উঠেছে! নারীর উন্নয়ন বিষয়ক অনেক গালভরা বুলি আওড়ানো হলেও ক্ষাণিক বাদেই জনৈক আলোচক যখন নিজের স্ত্রীর প্রতি শারীরিক তথা পারিবারিক সহিংসতার অনুঘটক হন তখন বিষয়টি বড্ড সাংঘর্ষিকই বটে!

বিভিন্ন পত্রিকার তথ্যমতে, জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতার মধ্যেও সারদেশে প্রায় ৮০০ টিরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং পারিবারিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেছে সহস্রাধিক! এছাড়া, অপ্রকাশিত ঘটনার সংখ্যাটি কেবল অনুমান করে নিলেই বোঝা যায়। আশ্চর‌্য ব্যাপার হলো অধিকাংশ ধর্ষন তথা অন্যান্য নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলি ঘটছে প্রায় নিকট আত্নীয় পরিজন দ্বারাই। অর্থাৎ নারীরা কোথাও তেমন একটা নিরাপদ নয় বললেই চলে। কঠোর এই পুরুষতান্ত্রিকতার কু-প্রভাবে আর ধর্মীয় অনুশাসনের জাঁতাকলে নারীকে পিষ্ট করা হচ্ছে প্রতিটি মুহুর্তে! অথচ, প্রতিটি ধর্মেই নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান করা হয়েছে সু-স্পষ্টভাবে। সেক্ষেত্রে নারী’কে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা, অভিগম্যতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার আগে নারীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা উচিৎ সর্বাগ্রে!

আজ নারী দিবস বলেই কিনা নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্রটি অবচেতনভাবেই সভ্যজাতির মানসপটে বারবার উঁকিঝুঁকি মারছে বৈকি! কোনোভাবেই তাকে যেন আড়াল করা যাচ্ছে না! প্রাসঙ্গিকভাবেই জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘যতদিন নারীরা নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, যতদিন নারীদের নিরাপত্তা ও  সহিংসতা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হবে, ততদিন সমগ্র বিশ্ব নারীদের সমানাধিকারের ব্যাপারে অহঙ্কার করতে পারবে না। বিশ্বের সব দেশের নারী, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন বা বেঁচে ফিরে এসেছেন তাদের জন্য অথবা তাঁদের হয়ে কথা বলার জন্য জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শ্রেনী-পেশার জনগণকে আহ্বান করা যেন এখন সময়ের দাবী!

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা কোন সহজ কাজ নয়! যেহেতু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা প্রায় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, তাই সর্বাগ্রে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুরুষদেরই এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারে, বিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, শহরে, বন্দরে, যানবাহনে, এমনকি বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে তাঁদের অনুকুল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন খুবই জরুরী। নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর একজন নারীর প্রয়োজনীয় আইনি ও চিকিৎসা সহায়তার সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে নারী–পুরুষের যে ন্যায্য অধিকার ও গুরুত্ব রয়েছে; উভয়ে মিলে যে অভিন্ন সত্তা, এই মানবিকতাবোধটুকু সমাজেরা মানুষেরা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে নারীর প্রতি বৈষম্য চলতেই থাকবে। আর এই কাজগুলো শুরু করতে হবে একদম গোড়া থেকে,  অর্থাৎ পরিবার থেকে। তাই আসুন সবাই সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ করি নারী নির্যাতন। উপরোক্ত করনীয়সমূহ নিতান্তই মানবজাতির! নারীজাতিকে ’মানুষ’ হিসেবে যোগ্য সম্মান প্রদান করবার জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের সকলের, বিশেষ করে পুরুষ জাতির।

নানাবিধ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই! আজকাল অনেক নারী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এখন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এক্ষেত্রে নারীকে প্রযুক্তি বিষেয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন করার অত্যন্ত জরুরী! অনেকে ক্ষেত্রে ‘প্রযুক্তিভীতি’ প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান লাভের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। এই ভীতি কাটাতে বিদ্যালয়ে ও পরিবারে শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে শিশুদের পরিচিত করে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, পিতৃতান্ত্রিক পদ্ধতিকে না ভাঙতে পারলে কেবলমাত্র প্রযুক্তি দিয়ে নারীকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। সবাইকে প্রযুক্তির সুফলের জন্য এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ তার কর্ম এলাকায় শিশুর কল্যাণার্থে শিশু ও যুব ফোরামকে সাথে নিয়ে দূর্গম পথ পাড়ি দেয়ার কাজটি হাতে নিয়েছে খুব নিবিড়ভাবে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের সমান সম্ভাবনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচির মধ্যে ‘ইংরেজী ভাষায়’ কথা বলার চর্চাও পাশাপাশি ’প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের’ দৃঢ় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

ইতোমধ্যে ‘জেন্ডার সহিংসতা ও নারীর উন্নয়ন’ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে; জনমনে সচেতনতাও বেড়েছে তথাপি ইদানিংকালে একটি বিষয়ে নতুন করে চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে, তা হলো নারী ও শিশু ধর্ষন ! নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অকপটে তাদের ধর্ষিত হবার গল্প শোনালেও বেশির ভাগ মানুষই তা আমলে নিতে চান না । বিভিন্ন আলোচনায় ফিসফিসিয়ে বা কুর্নিশ করে অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘সময় এসেছে ধর্ষন বিরোধী আলোচনার’ বিষয়টি আলোকপাত করবার…” ! কোর্টে নারী নির্যাতনমূলক মামলার অধিকাংশই যখন মিথ্যা, বানোয়াট আর উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে ধামাচাপা দেয়া হয় তখন বিষয়টি নতুনভাবে ভাবিয়ে তোলে ! এক্ষেত্রে নারীরা বড্ড অসহায় আর লজ্জার চাদর গায়ে জড়িয়ে দিনানিপাত করে । অমানবিক নির্যাতনের শিকার হলেও বলার মতো অনুকুল পরিবেশ নেই! নারীরা কেবল কিল খেয়ে কিল হজম করে চুপচাপ থাকে, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে! অমানবিক নির্যাতনের শিকার নারীরা যেদিন একসাথে প্রতিবাদ করবে সেদিন হয়তো লজ্জায় কুটি কুটি হাসবে নতজানু পুরুষ সমাজ ।

‘হার জিত চিরদিন থাকবে, তবুও এগিয়ে যেতে হবে’- এমন ধ্রুব সত্যটিকে মাথায় রেখে সকল বাঁধা অতিক্রম করে নারীকে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে সময়েপোযুগী পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। বিদ্যমান মৌলিক চাহিদা/ অধিকারগুলোর  মতো নারীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে এই পুরুষ সমাজকেই।

উন্নয়নশীল বা মধ্যম আয়ের এই দেশের সিংহভাগ মানুষ নিশ্চয়ই নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ তথা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই! তাহলে কোথায় এত বাঁধা? শুধু কি পৌরুষ আচরনই কি এর মূল কারণ? নাকি গণসচেতনতার অভাব? নাকি দুষ্ট চক্রের প্রভাব? অনেকাংশে কৌশলগত সমস্যাও কি নেই? যাই হোক, নিশ্চয়ই আমরা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই! সেক্ষেত্রে সবার আগে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অনেক বেশি জরুরী। এছাড়া, পুরুষদের সংবেদনশীলতা অনেক বেশি প্রয়োজন। এ দেশের প্রত্যেকটি ছেলে ও তাঁদের পরিবারে মনে করা উচিৎ, ”আমি/আমরা আমাদের মা-বোন-স্ত্রী সহ সমগ্র নারীকূলকে মন থেকে সম্মান করবো”! একই সাথে, পত্র পত্রিকা, টেলিভিশনের টক শো’তে আলোচনার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করার সময় এসে গ্যাছে! অর্থাৎ নারীর প্রতি সহিংসতার শিকার মেয়ে অথবা তাঁর পরিবারকে নিয়ে কথা বলার চেয়ে ছেলে তথা সহিংসতাকারীকে নিয়ে সংবেদনশীল অলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ পুরুষদের সম্পৃক্তকরণের মধ্য দিয়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে পারে! প্রয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সাথে যৌথভাবে কাজ করা দরকার। এমনি করে একদিন নিশ্চয়ই আমাদের সমাজ থেকে ও দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সর্বোপরি, শুধুমাত্র ৮ মার্চেই কেন এত “নারী বিষয়ক” আলোচনা? বরং আলোচনা হোক সর্বত্রই!  নারীদের জন্য সুন্দর ও সফল হোক আগামী’র প্রতিটি দিন!
 

লেখক:
মো. তানজিমুল ইসলাম
কো-অর্ডিনেটর- এডভোকেসি ও সোশ্যাল একাউন্টিবিলিটি

তুনাজ্জিনা হক
কো-অর্ডিনেটর- সোশ্যাল ইনক্লুশন এন্ড পলিসি এনালিসিস
ওয়ার্ল্ড ভিশন

০১৭৬৭-৫৯১৩৫৬
Email: [email protected]