বিচারে কেন এত বিলম্ব?

শাফিউল কায়েস প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
বিচারে কেন এত বিলম্ব?

সঞ্জয় দাস। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। গত মাসের ১৪ তারিখে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লা দ্বারা মারধর ও রক্তাক্ত হন সঞ্জয়। মাসুদ রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক বিচার পাননি সঞ্জয়। 

বিচারে কেন এত বিলম্ব?, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি অনশন করে যাবো, মাসুদ মোল্লার স্থায়ী বহিষ্কার চাই - এসব দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাস ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সঞ্জয়। 

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৪মে দুপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ ছিল না। পরেরদিন সঞ্জয়ের পরীক্ষা ছিল। তীব্র গরমে গ্রন্থাগার থেকে বেরিয়ে এসে গ্রন্থাগার সংলগ্ন টিনশেডে গিয়ে পড়তে বসে। পাশেই বান্ধবীর সাথে আড্ডায় মর্ত্য ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লা। অট্টহাসিতে মর্ত্য ছিল মাসুদ এবং তার বান্ধবী। তাদের হাসির কারণে বিরক্তি বোধ করেন সঞ্জয়। এসময় সঞ্জয় মাসুদ মোল্লাকে ধীরে ধীরে কথা বলার অনুরোধ জানান। সঞ্জয়ের কথার শোনে রেগে উঠেন মাসুদ। অতঃপর সঞ্জয়কে আঘাত করতে থাকেন। আঘাতের এক পর্যায়ে সঞ্জয়ের ডান চোখের উপরের অংশ ফেটে যায়। 

এ ঘটনার পরে ১৬ মে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান সাক্ষরিত এক নোটিশে মাসুদ মোল্লাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। জানা গেছে, মাসুদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও তিনি বিভাগে চলমান মাস্টার্সের মিডটার্ম পরীক্ষার ৬ টির মধ্যে তিনটিতে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছেন। 

৫ জুন, মাসুদের পরীক্ষার অংশগ্রহণের ব্যাপারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড.হাসিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বহিষ্কার হয়েছে বিষয়ে আমি আগে কোনো কাগজ পাইনি। আমাকে একটু আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিন থেকে সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, দেখি আমরা, সে কীভাবে পরীক্ষা দিতেছে চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা বলতে হবে। 

সঞ্জয়ের মতো কোন শিক্ষার্থীকে নিজের বিচারের দাবিতে মাঠে নামতে না হয়। বিচারের দাবিতে আন্দোলন, মানববন্ধন এবং আন্দোলন করতে না হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি থাকবে এ ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার যেন পান সঞ্জয়। 

লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

ইএইচ