শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের সাফল্য ও আত্মতৃপ্তির বয়ান ইতোমধ্যেই দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। জনজীবন দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। খোদ রাজধানীতে বিদ্যুতের লোডশেডিং অস্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে। লোডশেডিং এর কারণে চিকিৎসা শিক্ষা ও শিল্প কারখানাসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় মৌসুমের আবাদসহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও বিতরণ ও সরবরাহ সক্ষমতা বাড়েনি।
বুধবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এই দুর্গতি দ্রুত নিরসনের সম্ভাবনাও নেই। সরকার এখন অফিস, দোকান, মার্কেট ও কাঁচা বাজার বন্ধসহ উৎপাদন উপকরণের সাশ্রয়ের যে নতুন বয়ান দিয়ে যাচ্ছে এতে জনগণ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিদ্যুতের অপচয়, অপ্রয়োজনীয়তা এবং কোথায় সাশ্রয় করা যায় তা চিহ্নিত করে সরবরাহ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
আ স ম রব বলেন, গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থাৎ ২.১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও জনগণের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারেনি। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলে এ খাতে দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ সকল দায় অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে।
আ স ম রব আরও বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণার পরও বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, এমনকি জ্বালানির উৎস বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
এবি