শেখ হাসিনার নেতৃত্বে

অল্প সময়ে মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে: কাদের

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ০৫:৫৪ পিএম
অল্প সময়ে মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে: কাদের

দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপগুলোর প্রতি আস্থা রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তার ওপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনো রাখুন।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে।’ 

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলত, শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে।’

তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে সরকারের পতন হয়ে যাবে- বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? এমন প্রশ্ন তোলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা।জনগণ বিদ্যুৎ-সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা। হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথাও ভোলার নয়। ’ 

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারো কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে।’

যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির বাজার চরম অস্থিতিশীল হয়ে ওঠায় দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন সেতুমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন দেশের বিদ্যুৎ-সুবিধার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ-সুবিধা দিতে পারছে না। একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। তাই সবাইকে এই সংকটকালে রেশনিং করতে হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করতে বলা হয়েছে।বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দেওয়া সম্ভব হবে।’দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

এবি