খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে কোনো হাহাকার নেই বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
হ্যা, কিছু-কিছু জিনিসের দাম হয়তো কিছুটা বেড়েছে। এটা ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকটের জন্য হয়েছে। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিএআরসি অডিটোরিয়ামে ‘বছরব্যাপী পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদন শীর্ষক’ এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গা শব্দটি আমরা দূর করেছি। গত ১৩ বছরে নীলফামারী-কুড়িগ্রামে মঙ্গায় একজন মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, করোনার কারণে দুই বছরে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পটাশিয়াম সার যেসব দেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এরমধ্যে আবার রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে খাদ্য সংকট হচ্ছে। সারা পৃথিবীর মানুষ সেটি মোকাবিলা করছে।
তিনি আরও বলেন, সারের মূল্য আমরা অনেক কমিয়েছি। গত অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সারের মূল্যহ্রাস অব্যাহত রেখেছি। এ বছর এখন পর্যন্ত আট থেকে নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। এগুলোর সুফলভোগী কিন্তু গুলশান, ধানমণ্ডি এলাকার লোক নয়। এর সুফলভোগী হয়েছেন কৃষকরা। এর ফলে একটা শান্তির আবহাওয়া বাংলাদেশে বহমান রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি, তিনি বলেছেন, দাম যতই হোক, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্যে সার পায়, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।
কৃষিবিদদের উদ্দ্যেশ্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনাদের নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হবে। লিডারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখেন আজকে, সিপিডির দেবোপ্রিয় কিছু বললেই পত্রিকার প্রথম পাতায় আসে। বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারের (বিএএজি) কর্মকর্তারা একটা ফোরাম গঠন করলে আপনারা আরও বেশি কাজ করতে পারতেন।
এবি