বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের অবদান ও স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এমনটাই জানালেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর নাতি, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্মাতা’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি জেলায় ১টি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (০৫ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে ক্যারাম বোর্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, শেখ কামাল যে বয়সে জীবনকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন- ঠিক সেই বয়সের ছেলে-মেয়েরাই এসএসসি-এইচএসসি পাস করে ইনকিউবেশন ও বিজনেস সেন্টার থেকে সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে যার যার শহরে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে শেখ কামালকে অনুভব করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল সাদামাটা জীবন ও উচ্চ চিন্তার অধিকারী একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। যিনি বাংলাদেশের তরুণদের আধুনিক, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শেখ কমাল বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ এবং দেশের যুবসমাজের কাছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস। যার কৃতিমান পথচলা তারুণ্যের স্বপ্নযাত্রায় চিরকাল আলোক বর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও নির্মল তারুণ্যের অগ্রদূত শেখ কামালকে অনুসরণ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান পলক।
এবি