বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন `শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারতবর্ষের সরকারকে করতে অনুরোধ করেছি` বলে যে মন্তব্য করছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর।
একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে এভাবে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ কামনা রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি উল্লেখ করে এক যৌথ বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, `গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। কিন্ত এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে রাষ্ট্রযন্ত্রের দলীয়করণ ও ভিন্ন দেশের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।এভাবে জোরজবরদস্তি করে বিদেশীদের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চাওয়া দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্টতই হুমকি।কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে,শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সহায়তা চাওয়া নয়,২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ; এমনকি ১/১১-এর সেনাসমর্থিত সরকারের `সেইফ এক্সিট` নিয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির `দ্যা কোয়ালিশন ইয়ারস` বইয়ে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা বর্তমান সরকারের দেশদ্রোহী চরিত্রের মুখোশ উম্নোচন করেছে।
বিবৃতিতে জনগণের প্রতি গণঅধিকার পরিষদ আহ্বান জানায় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান গণবিরোধী ও দেশদ্রোহী সরকারকে রুখে দিতে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ইএফ