আল্লাহ ওহির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচিয়েছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পর্যন্ত আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলার দিন একমাত্র আল্লাহ তাকে অহির মাধ্যমে বাঁচিয়েছেন বলে আমি মনে করি। না হলে সেদিন বাঁচার কোনও উপায় ছিল না।’
সোমবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ২১ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মায়া বলেন, "২১ আগষ্ট যারা ঘটিয়েছে তাঁদের বিচার হয়েছে কিন্তু এর পেছনে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, কলকাঠি নাড়ছে এদের বিচার এখনো হয়নি। মূল নায়কদের বিচার করতে পারলে দেশের অবস্থা আজকে এরকম হতো না।"
তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্রকারী মৃত হোক জীবিত। কমিশনের পর কমিশন করে এদের বের করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজম্ম যেন জানতে পারে, কারা? কখন? কোন জায়গা? কীভাবে? ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের খুঁজে বের করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। ষড়যন্ত্র কারীদের খুনি রক্ত বাংলাদেশ থেকে বিতাড়ন করতে না পারলে ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। ষড়যন্ত্র কারী বিএনপি জামায়াত জোট সরকারকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়া না পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিএনপি ভোটে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ হত্যার (২১ আগস্ট) পরিকল্পনাকারী জিয়ার রক্ত। তার স্ত্রী, তারেক রহমান এবং হাওয়া ভবন। এ পরিবারটাই খুনি পরিবার। এরা আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না, ভোটে বিশ্বাস করে না, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়।’
সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়া বলেন, আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যেই হোক তাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এবং বিরোধী দলেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকতে হবে। এছাড়া রাজাকার, আলবদর, আশ শামস কোন ভাবেই যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনাকে ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কায়েম করতে চাই।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন– জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহহার আকন্দ, তরুণ রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক রাশেক রহমান প্রমুখ।
ইএফ