বিডিপি-এবি পার্টি আলোচনায়

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম
বিডিপি-এবি পার্টি আলোচনায়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অন্তত ৪০টি দল নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছে। ইতিমধ্যে নিবন্ধন পেতে যেসব শর্ত রয়েছে তা যাচাই করতে মাঠে নেমেছে ইসি। কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে আবেদন করা দলগুলোর অফিস রয়েছে কিনা, দলীয় কার্যক্রম রয়েছে কিনা তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। 

আবেদন করা সব দলের সম্পূরক তথ্য ও ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ৩ কার্য দিবসের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে তথ্য দিতে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এবার আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে ইসিতে ও গণমাধ্যমে আলোচনায় রয়েছে জামায়াতের সাবেক নেতাদের সম্পৃক্ততা থাকায় বিডিপি ও এবি পার্টি। এ দুটি দল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের কর্মযোগ্যসহ সবধরণের ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছেন। 

বিডিপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম (চান), সম্পাদক নিজামুল হকের (নাঈম), এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রত্যেকেই এক সময় জামায়াতের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মহানগর থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে  নিবন্ধন পেতে আবেদন করা ৪০টি দল হচ্ছে,  বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) , বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি (বাংলাদেশ টিজেপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ সার্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো,  নতুন ধারা বাংলাদেশ-এনডিবি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় দল, কৃষক শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নতুন দল নিবন্ধন চলমান প্রক্রিয়া। শর্ত পূরণ করেছে কিনা, গঠনতন্ত্র ঠিক আছে কিনা সব ঠিক থাকলে নিবন্ধন পাবে। শর্তপূরণ করতে না পারলে নিবন্ধন পাবে না। এ বিষয়ে আমাদের সকল ধরণের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। চিঠি ও দেওয়া হয়েছে দলগুলোকে।

টিএইচ