পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ থাকা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের ভিআইপি সড়কে সকাল ১০ টা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম ফকিরা পুল থেকে নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপনার কাজ শুরু করে। বিকেলে সিসি ক্যামেরা বসানো সম্পন্ন হলে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক খুলে দিতে উপরের মহল থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো এ সড়ক।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। তবে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে পুলিশ। রাস্তার দুই পাশেও পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কোনো যানবাহন যেন এই সড়কে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য বিজয়নগরের নাইটিংগেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ।
পরে দুপুর ২টা নাগাদ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কের বেশকিছু অংশে ফিতা টানিয়ে ককটেল বিস্ফোরণের স্থানগুলো থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়।
তারপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত নয়াপল্টনের বন্ধ থাকা সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে রিকশা ও বাসসহ জনসাধারণের যাতায়াত শুরু হয়েছে।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এই রাস্তায় চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। রাস্তার দুপাশের দোকান এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। তবে সাধারণ মানুষ তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
এদিকে বিকাল ৪টার পর কার্যালয়ের ভেতর থেকে ডগ স্কোয়াড নিয়ে বের হতে দেখা যায় বাহিনীর সদস্যদের। মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু জানান, ভেতরে তাদের ক্রাইম সিনের লোকজন কাজ করছেন। নিরাপত্তা বজায় রাখতে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
গতকাল (বুধবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বহু নেতাকর্মীকে কার্যালয় থেকে আটক করা হয়েছে।
টিএইচ