আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশ। সকল অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আজ বিকেলে গোলাপবাগ মাঠে গণ সমাবেশ করার অনুমতি পায় দলটি।
রাত আটটা পর্যন্ত সরেজমিনে গোলাপবাগ মাঠে দেখা যায়, হাজার হাজার নেতাকর্মী মাঠে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানে মুখরিত করে রেখেছেন। এখানে উপস্থিত সিংহভাগ নেতাকর্মীই কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে ঢুকতে দেখা গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গোলাপবাগ ধলপুর সায়দাবাদ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থেকে যুবদল নেতা মোখলেসুর রহমান জানান, গণ সমাবেশে যোগ দিতে আমরা সোমবার ঢাকায় আসি। প্রথমে ফকিরাপুলের একটি হোটেলে উঠলে পরে পুলিশের চাপে আমাদের হোটেল থেকে বের করে দেয়। পরে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করি বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে। কিন্তু সেখান থেকেও আমাদের চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দুই রাত কমলাপুর স্টেশনে রাত্রি যাপন করি।
মাদারীপুরের শিবপুর থেকে আগত ছাত্রদল নেতা আমিনুল জানান, বিএনপি করার অপরাধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আমার বাড়ীঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। জীবনের আর কোনো মায়া নেই, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এ সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে আগত এক বৃদ্ধ জানান, আমি বিএনপির কোনো পদ পদবিতে নেই। তবে, এ সরকার পতনের সমাবেশে উপস্থিত থাকা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। তাই আমি বুধবারই এ সমাবেশের ঢাকায় এসেছি। তিনি উত্তরায় এক ভাগিনার বাসায় ওঠেছেন জানান।
ফেনী থেকে আসা রাসেল নামের এক ছাত্রদল কর্মী জানান, তারা অন্তত বিশ জন ফেনী থেকে এসে গত তিন দিন তারা রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি হোটেলে অবস্থান করছেন।
এবি