ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর কিছুক্ষণ পর বিকেল সাড়ে ৪ টায় কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে কেয়ারটেকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি এই বক্তব্য প্রধান করেন।
জামায়াতের আমির বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতি চরম উৎতপ্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় অফিস সরকারি সিদ্ধান্তে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ, অবস্থানকে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাখির মতো গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। গভীর রাতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আনা হয়েছে। আমরা মনে করি এর শেষ পরিণতি আওয়ামী সরকারের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক হবে।
তিনি বলেন, জামায়াত, বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী ডান বাম, জোট সকলকে সাথে নিয়ে যুগপৎ দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হবে। সংগ্রাম করে জাতিকে মুক্ত করার মহান দায়িত্ব পালনে আগামী দিনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে দেশের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
এরআগে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও ১০ দফা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জনগণের অধিকার বাস্তবায়ন করতে গেলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। আদালতে ন্যায় বিচারের পরিবেশ নাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশকে আজ ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য অবিলম্বে প্রয়োজন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
ইএফ