রাতেই তিল ঠাঁই নেই আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:২৯ এএম
রাতেই তিল ঠাঁই নেই আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে

রাত পোহালেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে এসেছেন দলের নেতাকর্মীরা। আবার ঢাকার কর্মীরাও জাতীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে উদগ্রীব। কেউ আবার সম্মেলনের কার্ড নিতে ব্যতিব্যস্ত। সব মিলিয়ে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনভর ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়।

 

এদিন সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। জুমার নামাজের পর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। ব্যস্ততা যেন আরও বেড়ে গেছে বিকেলে। আর সন্ধ্যা নামতেই লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডি ৩/এ সড়ক।

সন্ধ্যার পর থেকে কার্যালয়ের ভেতরে তিল পরিমাণ জায়গাও যেন ফাঁকা নেই। চলতে হচ্ছে গায়ে গায়ে লেগে। কেউ কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন, কেউ বেরিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকেই চলতে হচ্ছে সারিবদ্ধভাবে।

একই চিত্র কার্যালয়ের সামনের সড়কে। কার্যালয় লাগোয়া ফুটপাতে নেতাকর্মীদের একাংশ চেয়ার পেতে বসেছে। চলছে নানা আলোচনা। তাদের সামনে দুই সারিতে চলাচল করছেন নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের বিপরীতের ফুটপাতেরও একই হাল। মূল সড়কে নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে গাড়ি চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে।

এই কার্যালয়ে দেখা মিলেছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার। উপস্থিত হয়েছিলেন যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও। তাদের সালাম দিতে আর কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামীকালের সম্মেলনকে ঘিরে তাদের এই ব্যস্ততা। তারা সবাই কোনো না কোনো কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী। আগামীকালের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তাদের পছন্দের নেতারা পদোন্নতি পাবেন- সেটিই তাদের প্রত্যাশা৷

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসবেন। এরপর আধাঘণ্টা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনাররা হলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও মশিউর রহমান। নির্বাচন কমিশন প্রথমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আহ্বান করবেন। একাধিক প্রার্থী না থাকলে প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে শীর্ষ দুই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এরপর কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।