রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বেসরকারি ফলাফলে ২২৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়েছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মোস্তফাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর আগে সন্ধ্যার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয় ভোটের ফল ঘোষণা। এদিন প্রথম থেকেই সব কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন লাঙল প্রতীকের এই প্রার্থী।
নির্বাচনে মোস্তফার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৪৯২ ভোট। হাতি প্রতীক নিয়ে লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৪৩ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৯ ভোট।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় সন্ধ্যার পর। এবার সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছাড়াই মেয়র পদে ৯ জন লড়াই করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (ইনু) শফিয়ার রহমান (মশাল), খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু (দেয়ালঘড়ি), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম (গোলাপফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), স্বতন্ত্র মেহেদী হাসান (হরিণ) ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি লতিফুর রহমান মিলন (হাতি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জনসহ সর্বমোট ২৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।