খন্দকার মাহবুবের শূন্যতা পূরণ হবার নয়: মোশাররফ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩, ০১:০৫ পিএম
খন্দকার মাহবুবের শূন্যতা পূরণ হবার নয়: মোশাররফ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে এটা পূরণ হওয়ার নয় জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আইনজীবীরা তাদের আইনজীবী অভিভাবক হারাল। আমরা একজন জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন নেতাকে হারালাম। আমরা আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তে নসিব করেন।

রোববার (১ জানুয়ারি) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খন্দকার মাহবুবের জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মোশারফ হোসেন বলেন, আজকে আমরা অত্যন্ত শোকাহত। আমরা আমাদের একজন প্রিয় নেতা এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যিনি দলের জন্য দেশের জন্য, জনগণের জন্য, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে এবং বিচারালয়ে তিনি উচ্চতর আদালতে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।

এসময় মরহুমের ছেলে খন্দকার শামীম হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাবার আত্মার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের কফিনে দলীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তারা মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, নাজিম উদ্দিন আলম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শ্রমিক দলের মাহবুব আহমেদ বাদল।

এছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাপগা) বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, গতকাল শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

এবি