বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনে কাজ করবে। যারা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাদের সংবিধান তৈরির কোনো অধিকার ছিল না। যারা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাদের সংবিধান তৈরি করার কোনো অধিকার ছিল না। বর্তমানে দেশে তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনই প্রমাণিত করে এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। সরকার পরিবর্তন ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। আগামীতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ডিআরইউতে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাবে আছে দুইবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এই প্রস্তাবটি দুইবারের বেশি কেউ মন্ত্রী, এমপি হতে পারবেন না। এ পর্যন্ত বিস্তৃত করলে রাজনীতিবিদরা তো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু তার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা, প্রতিহিংসার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
অনুষ্ঠানে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একদলীয় লোকেরা এই সংবিধান তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র দুজন সদস্য সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। তারা কেউই সেই সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি। তাই এটি একনায়কদের সংবিধান। এই সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া না করে পুরোটাই ফেলে দিন। নতুন করে একটি সংবিধান তৈরি করুন। যেখানে মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের দলের স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বলব আপনারা ঘোষণা দিন ক্ষমতায় গেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবেন। বর্তমান সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তাই সবার মতামত নিয়ে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করকে হবে।
অনুষ্ঠানে এ্যাবের আহ্বায়ক রশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হেসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম প্রমুখ।
এবি