আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা ভোট চুরি করবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন ইভিএম মেশিন বের করেছে, যেখানে জনগণ ধানের শীষে ভোট দেবে, আর সেটা হয়ে যাবে নৌকা। তাই, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে যাবে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগ ১৪ বছরে উন্নয়নের নামে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, প্রতারণা করছে। বাস্তবে কোন উন্নয়ন নেই। উন্নয়ন হয়েছে শুধু সরকারি দলের নেতাদের। এই নেতারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। যাদের এক তালা বাসা ছিলো, তাদের আজ ১০ তালা বাসা।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আমরা কোন মিটিং করতে চাইলে আওয়ামী লীগ বলে, আমরা নাকি নাশকতার পরিকল্পনা করছি। মারপিট করছে আওয়ামী লীগ, আমাদের মিটিংয়ে বাধা দিচ্ছে তারা অথচ দোষ দিচ্ছে আমাদের উপর। ১৪ বছরে নাশকতা সন্ত্রাস করে বাংলাদেশটাকে একটা শ্মশানে পরিণত করেছে এই আওয়ামী লীগ।
প্রায় এক মাস কারাবাসের পর মুক্তি পেয়ে প্রথম নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও গেছেন মির্জা ফখরুল। নিজ জেলায় জনসম্মুখে তিনি বলেন, ‘জজ-ব্যারিস্টার ও স্থানীয় এমপি সাহেবের যে অধিকার, জনগণের অধিকারও তাই। এ দেশের মালিক জনগণ, কিন্তু তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এ সরকার।
হারিয়ে দেওয়া নির্বাচনে বিএনপি আর কখনও যাবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতারণা ও ছলনায় মানুষ আর ভুল করবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে সরকারি দলের লোকজন ফুলে-ফেঁপে বড় হয়েছে। এ জন্যই কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল?’
বিএনপি মহাসচিব জানান, দলটির আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। বিএনপি কোথাও কোনো অশান্তি করছে না। কিন্তু আঘাত আসলে সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, অর্থ সম্পাদক শরিফ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ