আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা বলেছেন, জিয়াউর রহমান হত্যার পর তার স্ত্রী, পুত্র বা বিএনপির এ ঘটনার বিচার না চাওয়া সন্দেহজনক।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা এ মন্তব্য করেন।
সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ২১ আগস্ট প্রকাশ্যে রাজপথে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। নিহত হন আইভি রহমানসহ ২৪ জন। ওই ঘটনাকে নিন্দা করে এই মহান জাতীয় সংসদে একটি শোক প্রস্তাবও উপস্থাপন করতে দেয়নি বিএনপি-জামায়াত। শেখ হাসিনার সভায় যখন গ্রেনেড হামলা হচ্ছে, যখন রাজপথ হচ্ছে রক্তাক্ত, তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে ক্রিকেট খেলছে। একেই বলে বাপ কা বেটা।
বিএনপি একেক সময় একেক কথা বলে অভিযোগ করে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, এখন এরা সংবিধান কোড করে, আবার বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলে। এরা খুব খারাপ চিত্রনাট্যের সেই চরিত্রের মতো হয়, স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যায়। পটুয়া কামরুল হাসান বলেছিলেন না ‘বিশ্ব বেহায়া’। এরা সেই বিশ্ব বেহায়ার দল।
তিনি বলেন, কিএনপির কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে যে তাদের নেতা জিয়াউর রহমান মৃত্যুর পর না তার স্ত্রী, না তার পুত্ররা, না তার দলের কেউ- একজন জিয়াউর রহমানের হত্যা বিচার চায়নি বা খুনীদের শাস্তি চায়নি। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই সন্দেহজনক। বিএনপি ক্ষমতা চায়, অর্থ চায়, অর্থ পাচার করতে চায়। জাতীয় সংসদে সরকারি দল থাকবে বিরোধী দল থাকবে। কিন্তু বেসিক কথা হলো দুটো দলই দেশপ্রেমিক দল হবে। দুটি দলই আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে, আমাদের স্বার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করবে। সংসদে তর্ক হবে পলিসি নিয়ে, ফরেন পলিসি, ইকোনোমিক্স নিয়ে তর্ক হবে, আভ্যন্তরিণ কোনো ইস্যু নিয়ে তর্ক হবে। কিন্তু দিন শেষে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় থাকবে। বিএনপি আর জামায়াত যে পলিটিক্সটা করছে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্মান্ধতা এর সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি বিরোধী দল নয়, এরা হচ্ছে দেশদ্রোহী। আজকের এই বাংলাদেশে দেশদ্রোহী, রাজাকার বা চাটুকারদেও কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। নির্ভিক মানুষের বাংলাদেশ আছে, থাকবে।
এবি