আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যারা বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দিবে না, তাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ খরচ করে, সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান তাদের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই জন্মলগ্ন থেকে এরা গণতন্ত্রে কখনোই বিশ্বাস করে না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সংবিধানে বিশ্বাস করে না। এটা করে না বলেই তারা অর্বাচীনের মত কথা বলে।
বুধবার (০৮ মার্চ) বিকেলে শরীয়তপুর সদরের বিভিন্ন এলাকার জনসংযোগ শেষে রুদ্রকর ইউনিয়নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছে। তিনি দুর্নীতিবাজ। তার ছেলে তারেক বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিবাজ। সুতরাং এই সমস্ত লোকজনেরা জনগণের ভোটেতো নির্বাচিত হতে পারবে না। একারণে তারা ভোট বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চায়। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বাস করে না। ওরা শুধু চায় ক্ষমতা লুটপাট কিভাবে করবে।
বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি একমাত্র বিরোধী দল না। বিরোধী দল আছেতো। এদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, অনেকগুলো জোট আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি নিজ দলীয় কিছু এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে সকল এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে, যারা নিজেকে মহারাজা মনে করে। যারা সন্ত্রাস করে, যারা নৈরাজ্য করে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোচ্চার। তাদের প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিবেন না।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমীন কোতোয়াল, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান পাহাড়, জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের ফকিরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এরআগে দুপুরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের কবর জিয়ারত করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এআরএস