সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলা, গণঅধিকার পরিষদের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম
সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলা, গণঅধিকার পরিষদের নিন্দা

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের মারধর করেছে পুলিশ। সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকসহ আইনজীবীদেরও রাইফেল ও লাঠি দিয়ে এবং মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে পুলিশ পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মারতে মারতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। 

আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশের এ বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ এর আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর।

গত বছরের মতো নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করে এ বছরও সাজনো নির্বাচন করতে ব্যালট পেপার ছাপিয়ে জোরজবরদস্তি করে সুপ্রিম কোর্ট বারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকার সমর্থক আইনজীবী,পুলিশ ও ক্যাডাররা আজ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর নারকীয় তান্ডব চালায়। শহীদ শফিউর রহমান অডিটোরিয়ামে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে সুপ্রিম কোর্ট বারের ৭ বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অসংখ্য আইনজীবী আহত হয়েছে। আইনজীবীদের উপর হামলার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর ও লাঠিচার্জ করেন।

পুলিশের এ হামলায় এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তার,প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাশ, জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল হক, আজকের পত্রিকার নূর মোহাম্মদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জান্নাতুল ফেরদৌস, বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন ইব্রাহিম হোসেন, এটিএন বাংলার ক্যামেরা পারসন হুমায়ুন কবির, মানবজমিনের আবদুল্লাহ আল মারুফ,সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের এ নারকীয় তাণ্ডব সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।যার দায় কোনভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়াতে পারে না। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।একদিকে গণমাধ্যম কর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বার বার পুলিশ,ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে।অন্য দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত কালো আইন দিয়ে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচার না হওয়ায় দিন দিন সাংবাদিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছে।

নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সু্ষ্ঠু তদন্তের মাধ্যেমে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

আরএস