স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিদ্যমান অসাংবিধানিক সরকার আইনের শাসনবিহীন দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশকে শুধু দেউলিয়াই করছে না দেশের ভবিষ্যৎও লুণ্ঠন করছে।
গণমানুষের বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কবিহীন অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে বৈদেশিক ঋণে যে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা অত্যন্ত ভঙ্গুর, এই ভঙ্গুরতা জাতীয় অর্থনীতিকে একটি অনিবার্য সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষমতার বৈধতার সংকট দূর করতে অসাংবিধানিক সরকার জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার জলাঞ্জলি দিয়ে মানবিক উন্নয়নবিহীন আকাশ কুসুম গল্পের ফাঁদে উন্নয়ন বয়ানের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিরাট জনগোষ্ঠী চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রে অনির্বাচিত বা অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকারের অহমিকা অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনীতিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই সরকারের অপসারণ প্রজাতন্ত্রের জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনেই জাতীয় সরকার অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আজ বিকেলে পল্টন মোড়ে জাতীয় সরকারের দাবীতে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশ ও মিছিলে আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, রাষ্ট্রীয় সকল স্তরে শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে উন্নয়নের ধোঁয়াশার আড়ালে কি ঘটছে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। গণমানুষের রাষ্ট্র অর্থাৎ অংশীদারিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
জেএসডি ঢাকা মহানগর পূর্বের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, এ কে এম মিজান উর রশীদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শামসুল আলম নিক্সন, এম এ ইউসুফ, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচাসহ জেএসডি কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষ একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন , দৈনিক বাংলা, মোড়, মতিঝিল হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এআরএস