‘জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল’

বাসস প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম
‘জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ৭ এপ্রিল আনীত এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংসদের পথচলা বার বার হোঁচট খেয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংসদ বাতিল করা হয়েছিল এবং সংসদীয় গণতন্ত্র বাতিল করে তখন সামরিকতন্ত্র চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর প্রকৃতপক্ষে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল। ওই নির্বাচনের পর যে ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, যে ব্যক্তি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে বক্তব্য রেখেছে- ‘তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কোন গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চররা, ভারতের দোসররা কিছু গন্ডগোল করছে মাত্র’। এই ব্যক্তিকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে প্রধান দলগুলোবিহীন একটি নির্বাচন করে তখন আ স ম রব সাহেবকে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে হাস্যকর স্থানে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া ভোটাবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্ণেল রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল। এই সংসদে বিভিন্ন সময় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছে, যেভাবে সংসদের মাইক, খাতাপত্র, বইপত্র ছুঁড়েছে, এতেও সংসদের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।

সবচেয়ে দুঃখজনক হলো ২০০৭ সালে এই সংসদের স্পিকারের বাসভবন, চিফ হুইপের বাসভবনকে কারাগারে রূপান্তর করা হয়েছে এবং এই সংসদে জননেত্রী শে হাসিনা যিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর বিচারের জন্য এখানে আদালত বসানো হয়েছে।

একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া যিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিচারের জন্যও এখানে আদালত বসানো হয়েছে। এভাবে এই সংসদ চত্ত্বরকে, সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। এটি স্পষ্টত সংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করার জন্য, গণতন্ত্রকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা শহরে এতো জায়গা থাকা সত্বেও এখানে আদালত বসানো হয়েছিল এবং এখানে কারাগার বানানো হয়েছিল। সেই কাজটি যারা করেছিলেন, তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বলতে চাই- যারা এই কাজটি করেছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন কিনা, সেটি ভেবে দেখা প্রয়োজন।

এআরএস